বর্ধমান: রাজভবনে শ্লীলতাহানির প্রশ্নে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে (Governor CV Anand Bose) কড়া আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর নিশানা থেকে বাদ যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ওই ঘটনার পরেও বৃহস্পতিবার কী করে প্রধানমন্ত্রী রাজভবনে রাত্রিবাস করলেন, প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার বর্ধমানের রায়নায় নির্বাচনী সভায় (Election meeting in Raina of Burdwan) মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমন ঘটনা এই প্রথমবার ঘটেনি। এমন অভিযোগ আগেও এসেছে আমার কাছে। এদিনই বর্ধমানে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এই প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি মোদি। কেন প্রধানমন্ত্রী মুখ খুললেন না, রায়নার সভায় সেই প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন। যদিও রাজ্যপালের দাবি, তাঁর বদনাম করার চেষ্টা চলছে। তিনি লিখিত বিবৃতিতে বলেন, আমার বদনাম করে কেউ বা কারা ভোটের বাজারে ফায়দা তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই অভিযোগকে ‘কৌশলী আখ্যান’ বলে বর্ণনা করেন বোস। শুক্রবার বর্ধমানে নির্বাচনী সভায় মমতা বলেন, সন্দেশখালি নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। সেখানে আমি কিছুই ঘটতে দিইনি। জমি নিয়ে কিছু অভিযোগ ছিল। আমাদের অফিসাররাই মিটিয়ে দিয়ে এসেছেন। আর আপনি কী করছেন? একটা ছোট্ট মেয়ে… রাজভবনে চাকরি করত, তার সঙ্গে কী ব্যবহার করেছেন রাজ্যপাল?
আরও পড়ুন: চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
এদিন মোদির মুখে উঠে আসে চাকরিহারাদের কথা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, চাকরিহারাদের মধ্যে যাঁদের নথি ঠিক আ, লিগাল সেল গড়ে তাঁদের আইনি সহায়তা দেবে রাজ্য বিজেপি। তাঁদের জন্য তৈরি করা হবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মও। যাঁরা সৎ, যাঁদের ডিগ্রি ঠিক আছে, তাঁদের সঙ্গে বিজেপি আছে।
মোদির সভার কিছুক্ষণের পরই রায়নার সভা থেকে মমতাও চাকরিহারাদের পাশে থাকার কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, যে শিক্ষকদের চাকরি গিয়েছে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে আছে। তাঁদের চাকরি যাতে না যায় সেটা দেখা হবে। মমতার অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল বিজেপি শিক্ষকদের চাকরি খেয়েছে। কাজ নেই, কর্ম নেই। প্রধানমন্ত্রীর কী বলা উচিত তা জানেন না। চাকরিহারাদের নিয়ে এতদিন পর কথা বলছেন। মোদিবাবু, ছেলেমেয়েদের চাকরি তো আপনি খেযেছেন। মানে আপনার দলই চাকরি খেযেছে। রাজ্য সরকার, স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা লড়ছে। আমরা চাকরি খেতে দেব না।
দেখুন অন্য ভিডিও